E-Commerce নিয়ে উচ্চশিক্ষা ও ইন্টার্নশীপ - Alibaba Business School 2021

চীনের বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আলিবাবা বিজনেস স্কুলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চায়না ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা অর্জন করুন

চায়না ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের University -Enterprise Alliance  (UEA) ডিগ্রী প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চায়নার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পছন্দকৃত বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের পাশাপাশি, পৃথিবীর বিখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা থেকে হাতে কলমে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। তাছাড়া ইন্টার্নশিপের সুযোগ তো  রয়েছেই। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা শেষে যোগ্যতা অনুসারে Alibaba  ইকোসিস্টেম কোম্পানিগুলোতে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ পাবে।

চাইনিজ সরকারের সুদুরপ্রসারী বেল্ট অ্যান্ড রোড দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য ইউনিভার্সিটি এন্টারপ্রাইজ এলিয়েন্স সিরিজ প্রোগ্রাম চালু করে। চায়না ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক, চায়না এশিয়ান এডুকেশন, ৩৮টি চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিখ্যাত চাইনিজ কোম্পানি আলিবাবা , ZTE, Huawei এর মতো বিখ্যাত কোম্পানির সমন্বয়ে।

 চাইনিজ এডুকেশন মিনিস্টার  Mr Chen Baosheng ২৮ই জুলাই ২০১৭ সালে এ প্রোগ্রামটি উদ্বোধন করেন। এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো চাইনিজ বেল্ট অ্যান্ড রোড এর এর সদস্য ভুক্ত দেশ গুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা।

5 বছর মেয়াদী ইন্ডাস্ট্রি ফোকাস ব্যাচেলার প্রোগ্রামে আই ও টি, বিগ ডাটা ম্যানেজমেন্ট, এআই, রোবটিক্স, টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স, মেকানিক্যাল ডিজাইন ম্যানুফেকচারিং অ্যান্ড অটমেশন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, cross-border ই-কমার্স,  লজিস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং সহ আরো বেশ কিছু প্রোগ্রাম শিখানো হয়।

প্রথম বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের চাইনিজ ভাষা, কালচার ও বেসিক কোর্স করানো হবে।  এর ফলে শিক্ষার্থীরা চায়নার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষার পরিবেশে লোকাল চাইনিজ মেধাবী ছেলে মেয়েদের সাথে পাল্লা দিয়ে পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।

পাশাপাশি চায়নার বিখ্যাত কোম্পানি আলীবাবা তার আলীবাবা বিজনেস স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান করবেন ডিজিটাল ইকোনমি নিয়ে। আলীবাবার ইকোসিস্টেম কোম্পানি গুলোতে ইন্টার্নশিপ, ব্যবসা ও চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে CCN-এর শিক্ষার্থীরা।

UEA GET Programme সুবিধা 

• ইন্ডাস্ট্রি ফোকাসড মেজর 
• সেরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার সুযোগ 
• গ্রান্টেড ভর্তি ও স্কলারশিপ সুবিধা 
• আলিবাবাতে ইন্টার্নশিপ সুযোগ 
• ডুয়েল ক্যাম্পাস ও ডুয়েল সার্টিফিকেটের সুযোগ

প্রায় ১৫০ কোটি জনসংখ্যার বিশাল দেশ চায়না। বিশাল জনসংখ্যার একটি দেশকে ই-কমার্সের মাধ্যমে কিভাবে বদলে দিতে পারে, চীন তার বড় উদাহরণ।

বিশ্ব অর্থনীতিতে চায়না একটি স্বপ্ন ও ভরসার নাম যার অন্যতম কারণ চীনের ই-কমার্স বিজনেস। লক্ষ করলে দেখা যায়, বিশ্বখ্যাত আলিবাবা গ্রুপ একাই নিয়ন্ত্রণ করছে চীনের ই-কমার্স দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি অংশ যা পৃথিবীর বুকে চীনের অর্থনীতি কে দিয়েছে শক্ত একটা ভিত্তি।

অন্যদিকে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এসে আমাদের বাংলাদেশেও ই-কমার্স দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু তা পুরোটাই শহরকেন্দ্রিক। ২ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট নিয়ে যদি শহরকেন্দ্রিক হয় তাহলে ভাবুন তো যদি গ্রাম পর্যায়ে পৌছে তাহলে অর্থনৈতিক ভাবে আমরা কতোটা লাভবান হতে পারি! বলা বাহুল্য, দারিদ্রতা, বেকারত্ব তো দূর হবেই।

অন্যদিকে, আমাদের ক্যারিয়ার ও ব্যবসা-বাণিজ্য-কে যদি ডিজিটালাইজেশন না করতে পারি, সে ক্ষেত্রে ই-কমার্সের আশীর্বাদ হতে দেশ ও জাতি বঞ্চিত হবে। 

তাই আমাদের আগামী প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের ই-কমার্সের উপর উচ্চ শিক্ষা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

যেহেতু চায়না ই-কমার্সে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এবং পড়ালেখার খরচ ও জীবনযাত্রার ব্যয় খুবই কম সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালগুলোতে ই কমার্স নিয়ে উচ্চ শিক্ষা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা খুবই যুক্তিযুক্ত।

চায়নাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ই-কমার্সের কল্যাণে বদলে যাওয়া চায়না কে সরাসরি দেখতে পাবে। 

চায়না ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ই-কমার্স এর ওপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের একটি চমৎকার সুযোগ। এতে করে শিক্ষার্থীরা চাইনিজ প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-কমার্স নিয়ে ব্যাচেলর / এমবিএ পড়বে, এবং বাধ্যতামূলক ই-কমার্স জায়ান্ট #আলিবাবাতে হাতে কলমে ই কমার্স নিয়ে  নিয়ে দক্ষ হয়ে উঠবে, পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আলিবাবাতে ইন্টার্নশিপ ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য আলিবাবা ইকোসিস্টেম কোম্পানিগুলোতে অগ্রাধিকার পাবে । 

পড়ালেখা শেষ করে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের ই-কমার্সকে চাইনিজদের মতো ঢেলে সাজাতে পারবে ।  বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে ই-কমার্সের কল্যাণে গতিয়, প্রাণচাঞ্চল্য ও পূর্ণতা দান করতে পারবে। গ্রামীণ  বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ই কমার্স এর সাথে সম্পৃক্ত করতে না পারলে ডিজিটাল ইকোনোমির যুগে বাংলাদেশ মুখ থুবরে পড়বে। ডিজিটাল ইকোনমিতে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে সামর্থ্য হবে 

এই কোর্সটি যেভাবে করানো হবেঃ

১ম বছরঃ 

• ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম (IFP) – চাইনীজ ভাষা, ডিগ্রির বিষয় প্রস্তুতি

২য় বছরঃ

• ক্লাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ + অনলাইন ক্লাস

৩য় বছরঃ

• ক্লাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ + অনলাইন ক্লাস + প্রতিযোগিতা

৪র্থ বছরঃ

• ক্লাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ + অনলাইন ক্লাস + প্রতিযোগিতা
• প্রশিক্ষণ
• গ্রীষ্মে আপনি আলিবাবা প্ল্যাটফর্মে একটি ই-বাণিজ্য সংস্থার পক্ষে কাজ করার সুযোগ পাবেন, বিশেষত অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম, বিক্রয়, গ্রাহক সম্পর্ক, সরবরাহ চেইন পরিচালনার ক্ষেত্রে

৫ম বছরঃ

• ১ম সেমিস্টার চলাকালীন প্রশিক্ষণ + প্রোজেক্ট
• গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট + GET সার্টিফিকেট
• এই বছর আপনি আপনার পূর্ববর্তি এবং পরবর্তি সকল জ্ঞান কাজে লাগিয়ে থিসিস তৈরি করবেন

বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের আকার প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বছর এর আকার ৫০% করে বাড়ছে, যার ফলে ২০২৩ সাল নাগাদ আমাদের দেশে ই-কমার্স খাতের আকার হবে ৩ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে অর্থাৎ যুবসম্প্রদায়ের সংখ্যার দিক থেকে  বৃহৎ একটি দেশ।

এই বিরাট জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল ইকোনমিতে দক্ষ করা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা ডিজিটাল ইকনোমি মুখ থুবড়ে পড়বে আমরা পিছিয়ে যাব। বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার লক্ষ্য হলো ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ১ মিলিয়ন ডিজিটাল ট্যালেন্ট তৈরি করা।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চায়না ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চায়নার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-কমার্স অথবা MBA ইন ই-কমার্স-এ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার পাশাপাশি আলিবাবা হতে হাতে কলমে ডিজিটাল ইকোনমিতে দক্ষ হতে পারবে। পরবর্তীতে ইন্টার্নশিপ ও ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাবেন আলিবাবাতে।